Tuesday, December 10, 2024

দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি: সম্পূর্ণ গাইড

দেশি মুরগি আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী, যা স্থানীয় খামারিদের জন্য আয়ের অন্যতম উৎস। দেশি মুরগি পালনে খুব বেশি প্রযুক্তি বা আধুনিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হয় না, তবে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে এর মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব। দেশি মুরগি পালন শুধু আয়ের একটি মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের কৃষি ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশি মুরগি পালনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ও দিক।

১. প্রথমে খামার নির্বাচন

দেশি মুরগি পালনের জন্য খামার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি আদর্শ খামার সাধারণত খোলামেলা, সূর্যালোক প্রাপ্ত এবং শুষ্ক স্থান হওয়া উচিত। মুরগির জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা রোগমুক্ত থাকে এবং সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। খামারের পরিবেশ যেন সঠিক বাতাস চলাচল এবং পর্যাপ্ত আলো পায়, এটি নিশ্চিত করতে হবে।

২. মুরগির জাত নির্বাচন

দেশি মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে, তবে সাধারণত "চিরুনি", "বাঙালি" এবং "কামরুল" জাতের মুরগি বেশি জনপ্রিয়। এসব মুরগি শক্তিশালী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং তাদের ডিম দেয়ার ক্ষমতাও ভালো। তবে, শুরুতেই খামারের আকার এবং বাজেট অনুযায়ী যে কোন একটি জাত নির্বাচন করা উচিত।

৩. খাদ্য ও পুষ্টি

দেশি মুরগির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক পুষ্টির খাবার দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের প্রধান খাদ্য হলো ভাতের খালি, ভূট্টা, গম, ভুসি, সবজি, ফলমূল এবং অন্যান্য গ্রামীণ খাবার তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন মুরগির সবুজ খাদ্য অব্যহত রাখতে।। প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার তাদের বৃদ্ধি এবং ডিম উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. মুরগির আশ্রয় বা বাসস্থানের ব্যবস্থা

দেশি মুরগির জন্য একটি সুরক্ষিত আশ্রয় বা বাসস্থান প্রয়োজন। এই বাসস্থানটি যেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যাতে শিকারী বা পাখি তাদের আক্রমণ করতে না পারে। মুরগির জন্য একটি ছোট খাঁচা বা ঘর তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তারা শীতের সময় গরম এবং গ্রীষ্মের সময় ঠাণ্ডা থাকতে পারে। আশ্রয়ে যথেষ্ট জায়গা থাকা উচিত যাতে মুরগি চলাচল করতে পারে।

৫. স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ

দেশি মুরগি পালনে স্বাস্থ্যবিধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, টিকা দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা উচিত। মুরগি যাতে কোনো রোগে আক্রান্ত না হয়, সেজন্য তাদের আশ্রয়স্থল পরিষ্কার রাখা, খাবারের তাজাতা এবং সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ রোগের মধ্যে কোয়ালিডি, নিউক্যাসল, পোল্ট্রি ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রয়েছে, যা প্রতিরোধ করা সম্ভব, যদি নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা ও টিকা দেওয়া হয়।

৬. ডিম সংগ্রহ ও প্রজনন

দেশি মুরগি সাধারণত এক বছরে ৮০-১০০টি ডিম দেয়, তবে কিছু জাত বছরে ১৫০টিরও বেশি ডিম দিতে পারে। ডিম সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ডিমগুলো সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়, যাতে তা ভাঙে না। প্রজনন ক্ষেত্রে, যদি আপনি নতুন মুরগি উৎপাদন করতে চান, তবে একটি পুরুষ এবং কয়েকটি মহিলা মুরগি রাখতে হবে। দেশি মুরগির প্রজনন প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে হয়।

৭. বাজারজাতকরণ

দেশি মুরগি পালনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর বাজার চাহিদা। দেশি মুরগির মাংস ও ডিম সাধারণত ভালো দামেই বিক্রি হয়। মুরগির মাংস তুলনামূলকভাবে টেকসই এবং সুস্বাদু হওয়ায়, স্থানীয় বাজারে ভালো বিক্রি হতে পারে। এছাড়া, যদি বড় পরিসরে ব্যবসা করার পরিকল্পনা থাকে, তবে বড় মুরগির বাজার বা সরবরাহ চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন। দেশি মুরগির বাজার দর জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন।

৮. আয় ও লাভ

দেশি মুরগি পালন থেকে আয় তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে। খামার সেটআপের খরচ কিছুটা বেশি হলেও, সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে এর আয়ের পরিমাণ বেশী হতে পারে। এক বছরে ১০০টির বেশি ডিম পাওয়া সম্ভব হলে, প্রতি ডিম বিক্রির দাম অনুযায়ী আপনার আয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।

৯. দেশি মুরগির পালন থেকে পেশাগত লাভ

দেশি মুরগি পালন শুধু ব্যবসার মাধ্যম নয়, এটি অনেক কৃষকের জীবিকা নির্বাহের একটি উল্লেখযোগ্য উপায়। এটি খুবই লাভজনক হতে পারে, যদি আপনার খামার ভালোভাবে পরিচালিত হয় এবং সঠিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহার করেন। বিশেষত, দেশি মুরগির মাংস এবং ডিমের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এর বাজার সম্ভাবনা আরও বেশি।

উপসংহার:

দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা এবং এটি বিশেষ করে ছোট খামারিদের জন্য উপযুক্ত। সঠিক পরিচর্যা, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, এবং পরিবেশের মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি সফল মুরগি খামার তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি দেশি মুরগি পালনে নতুন হন, তবে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিয়মিত নজর রাখতে হবে আপনার খামারের ওপর। এটি শুধু আপনার পরিবারের জন্য নয়, দেশের কৃষি ব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরও কিছু জানার থাকলে আমাদের সাথে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য


Monday, September 13, 2021

দেশি মুরগি ডিম না দেওয়ার কারণ কি?

আসসালামু আলাইকুম আশাকরি ভালো আছেন। টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন আজকে কি বিষয়ের উপরে এই লেখাটি। দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। অল্প পুজিতে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। দেশি মুরগি ছেড়ে দিয়ে পালন করলে লাভ বেশি হয় কেননা এতে খাবার খরচ করা লাগে। তো দেরি না করে চলুন শুরু করি। দেখুন আসলে দেশি মুরগির ডিম না দেওয়ার পিছনে মূলত দুইটি কারণ রয়েছে।

প্রথম যে কারণ সেটি হল যদি মুরগিকে আপনি সঠিক পরিমাণ খাবার না দেন তাহলে মুরগি সঠিকভাবে ডিম দেবে না এটাই স্বাভাবিক। খাবারের মধ্যে আবার তারতম্য রয়েছে যেমনঃ আপনি একই জাতীয় খাবার প্রত্যেক বেলা বা প্রত্যহ দিতে থাকেন, তাহলে এতে করে শরীরে যে পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি গুনাগুন দরকার ডিম উৎপাদনের জন্য সেটি যদি না থাকে তাহলে মুরগি কিন্তু ডিম দিবে না ডিম দিতে কিন্তু অনেকটাই দেরি করবে। আমরা জানি সাধারণত মুরগি ছয় মাস বয়স থেকে শুরু করে ডিম দিতে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ৭-৮ মাস লেগে যায়। তবে যাইহোক কিছু মুরগি রয়েছে যারা একেবারেই ডিম দেয় না।

তো আমি যে বিষয়টি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাচ্ছি বা বুঝাতে চাচ্ছি সেটি হচ্ছে যে যদি, আপনি সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে মুরগিকে খাবার দিতে পারেন তাহলে মুরগি অবশ্যই অবশ্যই সঠিক ভাবে বা নিয়মিত ডিম দিবে এটা গ্যারান্টি তবে খাবার কি কি দিতে হবে এটি আপনাকে আগে জানতে হবে। যদি সঠিকভাবে খাবার দিতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তার আগে বলি যে আরেকটি কারণ কি দেশি মুরগি ডিম একেবারেই না দেওয়ার ক্ষেত্রে। সেটি হচ্ছে যে যখন আপনি প্রচুর পরিমাণ খাবার দিচ্ছেন অনেক সময় দেখা যায় মুরগি খাবারের কারণে মুরগির পেটে চর্বির আস্তরণ পড়ে যায় অনেক চর্বি হওয়ার কারণে মুরগির পেটের ভিতর অনেক সময় ভেঙে যেতে পারে যে কারণে মুরগি মারা যায়।

দেখা যায় যে ডিম দেওয়ার আগেই অনেক মুরগি এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় এবং মারাও যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ডিমটা পাবেন না। আরেক ধরনের মুরগি রয়েছে সেটি হচ্ছে যে বাজা বা বান্জা মুরগি। আপনি সত্যিই পড়েছে বাজা মুরগি। যেমন অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনেক ফিমেল বা মহিলা প্রাণীরাও কিন্তু বাচ্চা প্রসব করে না। মুরগির ভেতরেও অনেক মুরগি রয়েছে সেগুলো কখনোই ডিম দেবে না। এটি আপনাকে বুঝতে হবে যদি আপনি দেখেন কোন মুরগি ৮ মাস পার হলেও ডিম দিচ্ছে না তাহলে আপনি বুঝে নেবেন এই মুরগিটি ভবিষ্যতে আর কখনো ডিম দিবে ও না|।

কেননা এটি একটি বাজা মুরগি যাইহোক আমি আপনাকে একটি বিষয় জানাতে চাই সেটি হচ্ছে কোন জাতীয় খাবার দিলে মুরগি বেশি ডিম দিবে। আমি প্রথমেই বলব বাজারে কবুতরের মিক্সার নামে এক ধরনের খাবার পাওয়া যায় এই খাবারটি সাধারণত বিভিন্ন উপাদানে তৈরি হয়। এর ভিতর সাত বা আট ধরনের খাবারের উপাদান বিদ্যমান থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ধান, ভুট্টা ভাঙ্গা, মসুর ডাল, সবুজ মটর, আকরা, ‍ছয়াবিন, সরিষা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের উপাদান বিদ্যমান থাকে যা মুরগির ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে বিশেষ করে ডিম উৎপাদন করার জন্য একটি মুরগির যে ভিটামিন বা পুষ্টি দরকার তা এই খাবারগুলোর মধ্যে বিদ্যমান থাকে।

যদি আপনি ৫ মাস বা তার অধিক বয়সের কোনো মুরগিকে খাবার খাওয়ান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই একটি করে ডিম আপনাকে দিবে এটি নিশ্চিত থাকতে পারেন যদি অন্য কোনো রোগ না থেকে থাকে। এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনি চাইলে ভাত, গমের ভুসি, চাল, সবুজ শাক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার গুলো খুব সহজ মুরগিকে খাওয়াতে পারেন এতেও মুরগির শরীরে পুষ্টি গুনাগুন অনেকটাই বেড়ে যায় এবং ডিম দিতে সহায়তা করে

পাঠক যদি ই লেখাটুকু আপনি ভিডিও আকারে দেখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল (মা দেশি মুরগি খামার) থেকে ঘুরে আসতে পারেন সেখানে উদহরণ সহকারে দেখানো হয়েছ|।

আরও কিছু জানার থাকলে আমাদের সাথে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য



Thursday, May 14, 2020

দেশি মুরগির সবুজ খাদ্য

আজ আমি আপনাদের সাথে দেশি মুরগির সবুজ খাদ্য নিয়ে আলোচনা করব। দেশি মুরগির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খামারির সংখ্যা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে দেশি মুরগি শুধু বাড়িতে পালন করা হত পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কিন্ত চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় সাথে সাথে দেশি মুরগি বানিজ্যিকভাবে খামারে পালন করা হচ্ছে।

দেশি মুরগির খাদ্যাভাস অন্য জাতের মুরগির থেকে আলাদা। তাই এদেরকে যে কোন ধরনের খাবার-ই দেওয়া যায়। যেমন, ভাত, ছোট মাছ, গমের ভুষি, চাউলসহ মানুষের খাবারের উচ্ছিস্ট। তবে যারা খামারে বা আবদ্ধভাবে দেশি মুরগি পালন করেন তারা এই সবুজ খাদ্য মুরগিকে দিতে পারেন। এই সবুজ খাদ্য খামারে দেশি মুরগির খাবারের খরচ কমায় আবার মুরগির পুষ্টি চাহিদা ও পূরণ করে। তবে এই সবুজ খাদ্য প্রদানের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যা অনুসরণ না করলে ফলাফল খুব খারাপ হতে পারে।

সবুজ খাদ্যগুলি হলঃ

পুইশাক, কলমি শাক, হেঞ্চা শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক। এই জাতীয় শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। যা দেশি মুরগির দেহের ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে সহসয়তা করে। কেননা মানুষ ব্যাতিত অন্য সকল প্রাণী জানে যে তার শরীরে কিসের অভাব রয়েছে। আর ছেড়ে দিয়ে দেশি মুরগি পালন করলে এগুলো মাঠ-ঘাট থেকে খেয়ে থাকে। যার ফলে দেশি মুরগির রোগ বালাই কম হয়।       
কখন সরবরাহ করবেন?

লোকে বলে ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের যে অভ্যাস শিক্ষা দেওয়া হয় বড় হয়েও সে অনুযায়ী চলাফেরা করে। ঠিক তেমনি বাচ্চার বয়স ৭ দিন হওয়ার পর থেকে শাকগুলো মুষ্টি আকারে বেঁধে ঝুলে দিতে হবে খামারে। যাতে মুরগি ছিড়ে খেতে পারে। অথবা কুচি কুচি করে কেটে ভাত এবং গমের ভূষীর সাথে একটু পানি দিয়ে মেখে দিতে হবে। পানি না দিলে শাক ভাত, ভূষীর সাথে মিশবে না আর মুরগি খেতেও চাইবেনা। পানির পরিমাণ এত বেশি যেন না হয় যে ভাত, ভূষী  আর শাক আলাদা না হয়। বরং পানির পরিমাণ এতটা হওয়া উচিৎ যেন মাখ মাখ হয়। শাক ভাত এবং ভূষী একে অপররের সাথে লেগে থাকে।

যদি এতটুকু উপকারে আসে এই পোস্ট তাহলে আমার পেজটি লাইক দিয়ে ফলো করুন। আর শেয়ার করে রেখে দিন নিজের টাইমলাইনে।

Friday, October 18, 2019

দেশি মুরগি পালন। একটি লাভজনক পশু পালন পদ্ধতি অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার এটি একটি অন্যতম ব্যবসা। দেশি মুরগিকে দুপুরে কি খাওয়াবেন তা এই ভিডিওটি দেখলেই খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন..
https://youtu.be/GRdUOfN8x1w

Wednesday, May 8, 2019

দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। অল্প পুজিতে ছোট জায়গায় দেশি মুরগি পালন করা যায়। কিন্তু দেশি মুরগি পালনের কিছু নিয়ম কানুন ও রয়েছে । এই নিয়ম কানুন গুলো যদি ভালভাবে ফলো করা যায় তাহলে আশা করা যেতে পারে যে ভাল একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

দেশি মুরগি পালনে প্রথম শর্ত হল মুরগি এবং বাচ্চা নির্বচন করা। যদি মুরগি বা বাচ্চা নির্বাচনে ভূল হয় তাহলে, আপনি দেশি ‍মুরগি পালনে বাধাগ্রস্থ হবেন। এই মুরগি নির্বচন দুই ভাবে হতে পারে....

১। যদি আপনি বড় মুরগি বা প্যারেন্ট দিয়ে শুরু করেন তাহলে, সেই মুরগি গুলো অবশ্যই কোন খামার থেকে কিনবেন। বাইরের বাজার থেকে কখনই কিনবেন না। কেননা, বাজার থেকে কেনা মুরগিতে কোন রোগের টিকা দেওয়া থাকে না। মুরগির কিছু রোগ রয়েছে। যেমন:

দেশি মুরগির রাণীক্ষেত রোগ
মুরগির বসন্ত রোগ
সর্দি সংক্রান্ত রোগ

২। বাচ্চা নির্বাচন: এক্ষেত্রে ১-৭ দিন বয়সের বাচ্চা নির্বাচন করতে হবে এবং যে যে টিকা দেওয়া দরকার তাও দিতে হবে। অথবা, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোও যেতে পারে। দেশি মুরগির উর্বর ডিম চেনবেন কিভাবে তা এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।

দেশি মুরগির বীজ ডিমের জন্য কল করুন 01521497007

ফেসবুক গ্রুপ দেশি মুরগির ব্যবসা এই গ্রুপ এ যোগ দিন

https://www.facebook.com/groups/547055892308932/

Facebook:
https://www.facebook.com/madeshimurgikhamar/

Pinterest:
https://www.pinterest.com/seohelp1620/ma-deshi-murgi-khamar/

Blog:
https://www.madeshimurgikhamar.blogspot.com

Twitter:
https://twitter.com/bdchicken

Tuesday, April 16, 2019

দেশি মুরগি কুচে ছাড়ানোর উপায় | মা দেশি মুরগি খামার

দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। তবে দেশি মুরগির ডিমের পরিমাণ যদি বাড়ানো যায় তাহলে এর বংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে লাভও কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব। অামরা জানি যে, দেশি মুরগি বছরে ১০০-১২০ টি ডিম দিয়ে থাকে। কিন্ত অামরা যদি মুরগি দিয়ে ডিম না ফোটায় বা দেশি মুরগির কুচে ছাড়ানোর উপায় জানি তাহলে ডিমের পরিমান কিছুটা হলেও বাড়াতে পারি।

একটি দেশি মুরগি যখন ডিম দেয় তখন ঐ মুরগও এক নাগারে ১০-১৫ টি (কম বেশি হতে পারে) ডিম দেয় এবং তারপর উমে বা ডিমে তা দেওয়ার জন্য রেডি হয়। কিন্তু এই সময় মুরগিকে ডিমে বসাবেন না। বরং ঐ মুরগিটিকে অালাদা ভাবে একটি মোরগের সাথে অথবা এই অবস্থায় থাকা ২-৩ টি মুরগির সাথে একটি মোরগ অবশ্যই খামার থেকে অলাদাভাবে রাখবেন।

অাশাকরা যায় ১০-১৫ দিনের মধ্যে ঐ মুরগি অাবার ডিম পাড়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে এবং ৩-৫ দিনের মদ্ধে ডিম দিতে শুরু করবে। এই প্রক্রিয়া বছরজুড়ে চলতে থাকবে।

অরো জানতে ইউটিউব এ ভিডিওটি দেখতে পারেন।
দেশি মুরগির
ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে সাথে থকুন

মুরগির উকুন মারার উপায়

তথ্যটি ভাল লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।

Tuesday, April 2, 2019

বাণিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি পালন

বাণিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি পালন কৌশল আয় বাড়ানো ও পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি একজন উদ্দোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় । যেহেতু, দেশি মুরগির উৎপাদন অনেক কম তাই সঠিক লক্ষ্য এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করে দেশি মুরগীর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব ।
দেশি মুরগির বাচ্চার চেয়ে মানে ডিম ফুটে বাচ্চা বিক্রি করার চেয়ে ৭-৮ সপ্তাহ বয়সের মুরগি বিক্রি করলে বেশি লাভ পাওয়া যায় । তবে বাজার রেট একেক সময় একেক রকম থাকে । তাই সঠিক সময়ে মুরগি বিক্রি করতে হবে ।
দেশি মুরগি পালনে প্রথমে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বর্পূণ তা হল, ভাল বাচ্চা নির্বাচন করা । আগের তুলনায় এখন বানিজ্যিকভাবে দেশি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন এবং বিক্রি হচ্চে । তাই চাইলে খুব সহজেই বাচ্চা সংগ্রহ করা যায় । প্রয়োজন শুধু একটু খোঁজ । আর অনলাইন এখন ভাল মাধ্যম এছাড়াও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে এসব তথ্য পাওয়া যায় ।
বাচ্চা নির্বাচনের পর দেশি মুরগির রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ভাল ধারনা নিতে হবে অথবা ডাক্তারের পরামশ নিয়ে সঠিক সময়ে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন বা টিকা দিতে হবে । আর দেশি মুরগির বাজার সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হবে এবং বিক্রি করে দিতে হবে । দেশি মুরগির বাজার জানতে এই ভিডিওটি দেখুন এবং চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন আর ফেসবুক পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন ।